Sunday, December 20, 2015
Saturday, December 12, 2015
published by bloger mithen
কুমিল্লার ভাগ্য ভালো: সাকিব
published by mithen
Published: 2015-12-12 19:57:45.0 BdST Updated: 2015-12-12 21:34:13.0 BdST
প্রথম কোয়ালিফায়ারে বড় ব্যবধানে হারের পর রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মেনে নিয়েছেন, ভালো খেলেননি তারা। একই সঙ্গে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার মনে করছেন, তাদের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ভাগ্যটা খুব ভালো ছিল।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে কুমিল্লার কাছে ৭২ রানে হারে রংপুর। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানান, পুরো ম্যাচেই বাজে খেলেছেন তারা।
“আমার কাছে সবচেয়ে বেশি যেই জিনিসটা মনে হচ্ছে, ওরা খুব লাকি ছিল। যেভাবে ইচ্ছা ব্যাট চালিয়েছে, যেটা ব্যাটে লাগেনি নাই সেটা (ব্যাট কানা) মিস করে গেছে। যেটা ব্যাটে লেগেছে সেটা গ্যাপে পড়ছে অথবা বাউন্ডারি হয়ে গেছে।”
অলরাউন্ডারসহ পাঁচ স্পিনার নিয়ে কুমিল্লার বিপক্ষে খেলেছিল। উইকেটে স্পিনারদের জন্য বেশ সহায়তাও ছিল, সেই সুবিধা নিতে না পারার হতাশা সাকিবের কণ্ঠে।
“অবশ্যই আমরা ভালো বোলিং করিনি। পুরো ম্যাচে ভালো কিছু করেছি সেটা বলা যাবে না।”
নিজেদের বোলিংয়ের সমালোচনা করলেও অর্ধশতক করা ইমরুল কায়েসের প্রশংসা করতে ভুলেননি সাকিব।
“অবশ্যই ইমরুল ভালো ব্যাটিং করেছে। তাই শুরুতেই ওরা ভালো একটা গতি পেয়েছে। তারপরে যারা এসেছে তারা ধারা বজায় রাখতে পেরেছে। অন্য দিকে আমরা সঠিক বোলিং করতে পারিনি। এই উইকেটে স্পিনারদের যতটা ভালো বোলিং করা দরকার ছিল সেটা করতে পারিনি।”
কুমিল্লার কাছে হারলেও ফাইনালে খেলার আশা বেঁচে আছে রংপুরের। আবার মাশরাফি বিন মুর্তজাদের মুখোমুখি হতে রোববার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জিততে হবে সাকিবের দলকে।
“শেষ তিন ম্যাচ আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। একটা বাজে দিন যেতেই পারে। টি-টোয়েন্টি খেলাটাই এ রকম। কালকে আরেকটা সুযোগ আছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, আমরা যেন কালকের জন্যে প্রস্তুত থাকি।”
ঢাকা ডায়নামাইটস-বরিশাল বুলসের মধ্যে এলিমিনেটর ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে রংপুর।
Thursday, December 3, 2015
ANGLADESH PREMIER LEAGE news
Dec. 3, 2015
দিলশানের কলঙ্কের ম্যাচে কুমিল্লার জয়
published by bloger mithen
৩ ডিসেম্বর, ২০১৫
published by minhazul abedin mithen
চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচটি হলো রোমাঞ্চকর। শেষ ওভারে হলো মিমাংশা। চাপ জয় করে ২ বল হাতে রেখে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৫ উইকেটে হারালো চিটাগাং ভাইকিংসকে। ৫ উইকেটে ১৩৬ রান করেছিল চিটাগাং। ৫ উইকেট হারিয়ে শেষ ওভারে তা জয় করলো কুমিল্লা। শোয়েব মালিক খেলেছেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস। কিন্তু এই ম্যাচে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে থাকলো চিটাগাংয়ের তিলকারত্নে দিলশানের অখোলোয়াড়সুলভ আচরণ। যার জন্য ৫ রান জরিমানা হয় তার দলের।
ঢাকায়ও চিটাগাংকে হারিয়েছিল কুমিল্লা। হারালো আবার। ৭ ম্যাচের ৫টি জিতে কুমিল্লার পয়েন্ট ১০। বরিশাল বুলসেরও ১০। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে কুমিল্লা। আর ৮ ম্যাচে ষষ্ঠ হারে টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে পড়লো চিটাগাং।
দ্বিতীয় ওভারে মাঠে সৃষ্টি হয় বিতর্ক। তাসকিন আহমেদের এই ওভারের প্রথম বলে লিটন দাশ (৩) ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। কিন্তু পঞ্চম বলে ইমরুল কভারের দিকে বল ঠেললেন। রান নিতে চাইলেন। শেহজাদ ফিরিয়ে দিলেন। ফিল্ডারের ছোড়া বল অন্য প্রান্তে গেলো। স্টাম্পের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিলকারত্নে দিলশান। বল আবার ফিরে আসতে দেখে কোনাকুনি হয়ে গেলেন। তখন আবার শেহজাদকে রানের জন্য ছুটতে দেখে ইমরুল ঘুরে দৌড়াতে গেলেন। দিলশানের সঙ্গে ধাক্কা লাগলো। পড়ে গেলেন ইমরুল। শেহজাদ পৌঁছে গেছেন দুই ব্যাটসম্যান একই প্রান্তে। ইমরুল পড়ে আছেন। বল স্ট্রাইকিং এন্ডে গেল। স্টাম্প ভাঙ্গা হলো। চিটাগাংয়ের উল্লাস। ইমরুল প্রতিবাদ করলেন। থার্ড আম্পায়ারের কাছে গেল সিদ্ধান্ত। প্রায় ৫ মিনিট রিপ্লে দেখা হলো। তারপর ইচ্ছে করে ব্যাটসম্যানকে বাধা দেয়ার কারণে চিটাগাংয়ের ৫ রান জরিমানা হলো। দোষী হলেন দিলশান। আউট হলেন না কেউ।
এরপর ইমরুলের ব্যাটে বেশ ঝলক দেখা গেলো। শেহজাদকে এক প্রান্তে রেখে তিনিই রান করে গেলেন। ৫২ রান আসলো দ্বিতীয় উইকেটে। ২৮ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করে বিদায় নিলেন ইমরুল। তাকে আউট করে দিলশানের উল্লাসটা ছিল দেখার মতো।
শেহজাদের ৪১ বলে করা ৩৭ রান কাজে দিলো বটে, কিন্তু তার খেলা চোখের চাপ বাড়াচ্ছিল। ১৪তম ওভারে তাসকিনকে তিনটি বাউন্ডারি মারলেন। ওই ওভারে নিলেন ১৫ রান। এছাড়া তার ব্যাটিং সাবলীল ছিল না। স্বদেশী শোয়েব মালিকের সাথে ৩৯ রানের জুটি গড়ে আরেক দেশি বিলাওয়াল ভাটির বলে আউট হয়েছেন শেহজাদ। এরপর ১৭তম ওভারে মোহাম্মদ আমির আউট করেছেন দুই ব্যাটসম্যানকে। নাটক জমে ওঠে।
শেষ ১৮ বলে ২৪ রান দরকার কুমিল্লার। ১২ বলে দরকার ১৬। শোয়েব ও অলক কাপালি ব্যবধানটা কমিয়ে আনেন। শেষ ওভারে জিততে কুমিল্লার দরকার ৭ রান। প্রথম বলে বিলাওয়ালের নো, সাথে এক রান। চাপ ঝেড়ে ফেলে কুমিল্লা। শেষ বলে ১ লাগে। শোয়েব ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন। তিনি ২৩ বলে ৩৪ ও কাপালি ১০ রানের অপরাজিত থাকেন। শোয়েবই ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করা চিটাগাংকে খুব বড় রান করতে দেননি কুমিল্লার বোলাররা। ওপেনিং জুটিতে ৫১ রান আসে। তামিম ইকবাল ২৭ রান করে বিদায় নেন। এরপর ৩৯ রান আসে দিলশানের ব্যাট থেকে। তবে তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান এসেছে উমর আকমলের ব্যাট থেকে। পাকিস্তানী এই ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
শেষ হয়ে গেলো শেহওয়াগ-অধ্যায়
bloger mithen
- Written by খেলাধুলা ডেস্ক
ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসের যদি কোনো বই-রূপ দেয়া হয়, তবে তাতে 'বিরেন্দর শেহওয়াগ' নামে একটি অধ্যায় না থেকে পারেই না। সেই অধ্যায়টা শেষ হয়ে গেলো আজ। ১৪ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষে বেশ কিছুদিন আগে বিদায় ঘোষণা করেছিলেন শেহওয়াগ। বোর্ডের পক্ষ থেকে একটা আনুষ্ঠানিকতা তবুও বাকি ছিলো। সেই বাকিটুকুও শেষ হয়ে গেলো আজ।
ভারত- দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের চতুর্থ টেস্ট শুরুর দিন দিল্লিতে ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ বিদায়ী সম্মাননা দেয়া হয়েছে শেহওয়াগকে।
কিছু দিন ধরেই গুঞ্জন চলছিলো- শেহওয়াগ কি এভাবেই নীরবে-নিভৃতে হারিয়ে যাবেন? এ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে চাপা বিরহও ভর করেছিলো। সেই বিরহের বিষাদি বাতাস নিশ্চয় হাওয়া দিয়েছিলো বিসিসিআইয়েও। এ কারণেই হয়তো শেষ আনুষ্ঠানিকতাটা গুরুত্ব দিয়েই সারলো তারা।
সেই গুরুত্বটা অবশ্য খুব বেশি নয়; বোর্ডের পক্ষ থেকে সচিব অনুরাগ ঠাকুর শেহওয়াগের হাতে তুলে দিয়েছে ছোট একটা ট্রফি। সঙ্গে তাকে সুযোগ দেয়া হয়েছে বিদায়ী ভাষণ দেয়ার ছোট একটা উপলক্ষ্য। সেটাই বা কম কী!
বিদায়ী ভাষণে নিজের তিন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড় ও অনিল কুম্বলেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শেহওয়াগ। তাদের দেয়া পরামর্শ অনুসরণ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে ছয় বছর যার অধিনায়কত্বে খেলেছেন, যার অধিনায়কত্ব জিতেছেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপ; সেই ধোনিকে একবারের জন্যও স্মরণ করেননি শেহওয়াগ। চেপে রাখটা ক্ষোভটা চুপচাপ প্রকাশ করে দিয়েছেন 'বীরু'।
বিরেন্দর শেহওয়াগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
ফরম্যাট | ম্যাচ | রান | সর্বোচ্চ | সেঞ্চুরি | হাফ সেঞ্চুরি |
টেস্ট | ১০৪ | ৮৫৮৬ | ৩১৯ | ২৩ | ৩২ |
ওয়ানডে | ২৫১ | ৮২৭৩ | ২১৯ | ১৫ | ৩৮ |
টি-টোয়েন্টি | ১৯ | ৩৯৪ | ৬৮ | ০ | ২ |
Subscribe to:
Posts (Atom)