ANGLADESH PREMIER LEAGE news
Dec. 3, 2015
দিলশানের কলঙ্কের ম্যাচে কুমিল্লার জয়
published by minhazul abedin mithen
চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচটি হলো রোমাঞ্চকর। শেষ ওভারে হলো মিমাংশা। চাপ জয় করে ২ বল হাতে রেখে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৫ উইকেটে হারালো চিটাগাং ভাইকিংসকে। ৫ উইকেটে ১৩৬ রান করেছিল চিটাগাং। ৫ উইকেট হারিয়ে শেষ ওভারে তা জয় করলো কুমিল্লা। শোয়েব মালিক খেলেছেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস। কিন্তু এই ম্যাচে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে থাকলো চিটাগাংয়ের তিলকারত্নে দিলশানের অখোলোয়াড়সুলভ আচরণ। যার জন্য ৫ রান জরিমানা হয় তার দলের।
ঢাকায়ও চিটাগাংকে হারিয়েছিল কুমিল্লা। হারালো আবার। ৭ ম্যাচের ৫টি জিতে কুমিল্লার পয়েন্ট ১০। বরিশাল বুলসেরও ১০। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে কুমিল্লা। আর ৮ ম্যাচে ষষ্ঠ হারে টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে পড়লো চিটাগাং।
দ্বিতীয় ওভারে মাঠে সৃষ্টি হয় বিতর্ক। তাসকিন আহমেদের এই ওভারের প্রথম বলে লিটন দাশ (৩) ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। কিন্তু পঞ্চম বলে ইমরুল কভারের দিকে বল ঠেললেন। রান নিতে চাইলেন। শেহজাদ ফিরিয়ে দিলেন। ফিল্ডারের ছোড়া বল অন্য প্রান্তে গেলো। স্টাম্পের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিলকারত্নে দিলশান। বল আবার ফিরে আসতে দেখে কোনাকুনি হয়ে গেলেন। তখন আবার শেহজাদকে রানের জন্য ছুটতে দেখে ইমরুল ঘুরে দৌড়াতে গেলেন। দিলশানের সঙ্গে ধাক্কা লাগলো। পড়ে গেলেন ইমরুল। শেহজাদ পৌঁছে গেছেন দুই ব্যাটসম্যান একই প্রান্তে। ইমরুল পড়ে আছেন। বল স্ট্রাইকিং এন্ডে গেল। স্টাম্প ভাঙ্গা হলো। চিটাগাংয়ের উল্লাস। ইমরুল প্রতিবাদ করলেন। থার্ড আম্পায়ারের কাছে গেল সিদ্ধান্ত। প্রায় ৫ মিনিট রিপ্লে দেখা হলো। তারপর ইচ্ছে করে ব্যাটসম্যানকে বাধা দেয়ার কারণে চিটাগাংয়ের ৫ রান জরিমানা হলো। দোষী হলেন দিলশান। আউট হলেন না কেউ।
এরপর ইমরুলের ব্যাটে বেশ ঝলক দেখা গেলো। শেহজাদকে এক প্রান্তে রেখে তিনিই রান করে গেলেন। ৫২ রান আসলো দ্বিতীয় উইকেটে। ২৮ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করে বিদায় নিলেন ইমরুল। তাকে আউট করে দিলশানের উল্লাসটা ছিল দেখার মতো।
শেহজাদের ৪১ বলে করা ৩৭ রান কাজে দিলো বটে, কিন্তু তার খেলা চোখের চাপ বাড়াচ্ছিল। ১৪তম ওভারে তাসকিনকে তিনটি বাউন্ডারি মারলেন। ওই ওভারে নিলেন ১৫ রান। এছাড়া তার ব্যাটিং সাবলীল ছিল না। স্বদেশী শোয়েব মালিকের সাথে ৩৯ রানের জুটি গড়ে আরেক দেশি বিলাওয়াল ভাটির বলে আউট হয়েছেন শেহজাদ। এরপর ১৭তম ওভারে মোহাম্মদ আমির আউট করেছেন দুই ব্যাটসম্যানকে। নাটক জমে ওঠে।
শেষ ১৮ বলে ২৪ রান দরকার কুমিল্লার। ১২ বলে দরকার ১৬। শোয়েব ও অলক কাপালি ব্যবধানটা কমিয়ে আনেন। শেষ ওভারে জিততে কুমিল্লার দরকার ৭ রান। প্রথম বলে বিলাওয়ালের নো, সাথে এক রান। চাপ ঝেড়ে ফেলে কুমিল্লা। শেষ বলে ১ লাগে। শোয়েব ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন। তিনি ২৩ বলে ৩৪ ও কাপালি ১০ রানের অপরাজিত থাকেন। শোয়েবই ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করা চিটাগাংকে খুব বড় রান করতে দেননি কুমিল্লার বোলাররা। ওপেনিং জুটিতে ৫১ রান আসে। তামিম ইকবাল ২৭ রান করে বিদায় নেন। এরপর ৩৯ রান আসে দিলশানের ব্যাট থেকে। তবে তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান এসেছে উমর আকমলের ব্যাট থেকে। পাকিস্তানী এই ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
No comments:
Post a Comment